সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
১৪ বছর পর ‘ভুলভুলাইয়া’র ছবিতে অক্ষয় কুমার ‘কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেয়েছে র‌্যাব’ উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হারানোর পর থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ বিরোধী দল নিধনে এখনো বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে : মির্জা ফখরুল রাজশাহীর দুই জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত ঢাকাসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ, ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিছিন্ন তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী গ্রেফতারের আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রও পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ১৫০০ কোটি টাকা
ক্ষমতাসীন বিজেপির পরাজয়, কর্ণাটকের ক্ষমতায় ফিরলো কংগ্রেস

ক্ষমতাসীন বিজেপির পরাজয়, কর্ণাটকের ক্ষমতায় ফিরলো কংগ্রেস

স্বদেশ ডেস্ক:

নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি’র বিজয়রথ কর্ণাটকে থামিয়ে দিল কংগ্রেস। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরছে রাহুল গান্ধীর দল। ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে দরকার ১১৩টি আসন প্রয়োজন। কংগ্রেস এখন ১৩৬টি আসনে এগিয়ে। বিজেপি এগিয়ে ৬৩টি আসনে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস এগিয়ে ২২টি আসনে। গতবারের তুলনায় বিজেপি’র ৪০টি আসন কমেছে। কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৪টি আসন।

ভোট পাওয়ার হারও গতবারের থেকে পাঁচ শতাংশ বাড়াতে পেরেছে কংগ্রেস। দক্ষিণ ভারতের কোনো রাজ্যে আবারো একার ক্ষমতায় সরকার গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুতে তারা ডিএমকের সাথে ক্ষমতায় আছে। আর দক্ষিণ ভারতে বিজেপি আর কোথাও ক্ষমতায় থাকলো না।

এই বিপুল জয়ের পর কংগ্রেসের সামনে এখন সমস্যা হলো, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রধান দাবিদার সিদ্ধারামাইয়া, শিবকুমার, পরমেশ্বরসহ অনেক নেতা। এরমধ্যে সিদ্ধারামাইয়া আগে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। শিবকুমার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও রাহুল গান্ধীর খুবই আস্থাভাজন নেতা। দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস হাইকমান্ড এই সিদ্ধান্ত নেবে।

কর্ণাটক হলো কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের রাজ্য। তিনি এখানে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। রাহুল গান্ধীও কর্ণাটকে ১২ দিন সময় দিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ২৬টি জনসভা ও রোড শো করেছেন। সোনিয়া গান্ধী পর্যন্ত অনেক দিন পর ভোটের প্রচারে নেমেছেন।

সবচেয়ে বড় কথা কর্ণাটকে কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা খুবই শক্তিশালী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার জনভিত্তি আছে। ভোটের আগে বিজেপির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এবং ভোটে লড়েছেন।

অন্যদিকে বিজেপির প্রচারে সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি ও অমিত শাহ সবচেয়ে বেশি জনসভা ও রোড শো করেছেন। রাজ্য নেতাদের মধ্যে প্রার্থী করা নিয়ে প্রচুর ক্ষোভ ছিল। আর ভোট সমীক্ষাগুলোর মতে, মানুষের ক্ষোভ ছিল দুর্নীতি, চাকরি না পাওয়া ও জিনিসের দাম নিয়ে।

বিজেপি ভোটের প্রচারে টিপু সুলতান থেকে শুরু করে বজরঙ্গবলী, লাভ জিহাদের মতো বিষয়গুলো তুলেছিল। দেখা গেল, মানুষ তাদের সমস্যাগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ধর্মীয় বিভাজনের বিষয়কে নয়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877